ঋগবেদের ওপর প্রশ্ন
১. ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে ঋগ্গ্বেদের প্রাচীন অংশের রচনাকাল কবে?
উঃ ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে ঋগবেদের প্রাচীন অংশের (২য় মণ্ডল থেকে ৯ম মণ্ডল) রচনাকাল হল আনুমানিক ১৫০০ থেকে ১২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে।
২. ঋগবেদের প্রথম মন্ত্রটি কী?
উঃ ঋগবেদের প্রথম মন্ত্রটি হল—
অগ্নিমীলে পুরোহিতম্
যজ্ঞস্য দেবমৃত্বিজম্।
হোতারং রত্নধাতমম্।।
৩. ঋগবেদে কটি মণ্ডল আছে?
উঃ ঋগ্বেদে দশটি মণ্ডল আছে।
৪. ঋগবেদের দুটি দার্শনিক সূক্তের নাম লেখো।
উঃ ঋগ্বেদের দুটি দার্শনিক সূক্ত হল হিরণ্যগর্ভসূক্ত এবং পুরুষসূক্ত।
৫. ঋগ্বেদের দুটি সংবাদ সূত্তের নাম লেখো।
উঃ ঋগ্গ্বেদের দুটি সংবাদ সূক্ত হল যম-যমী সুক্ত এবং পুরুরবা-উবর্শী সূক্ত।
৬. ঋগ্গ্বেদের দুটি ধর্মনিরপেক্ষ সূক্তের নাম লেখো।
উঃ ঋগবেদের দুটি ধর্মনিরপেক্ষ সূক্ত হল অক্ষসূক্ত ও হিরণ্যগর্ভ সূক্ত।
৭. ঋগ্বেদের একটি শাখার নাম লেখো।
উঃ ঋগ্বেদের একটি শাখা হল শাকল।
৮. ঋগ্গ্বেদের প্রথম সূক্তের দেবতা কে?
উঃ ঋগ্গ্বেদের প্রথম সূক্তের দেবতা হলেন অগ্নি।
৯. ঋগ্গ্বেদের পুরোহিতকে কী বলা হয়?
উঃ ঋগ্বেদের পুরোহিতকে বলা হয় হোতা।
১০. ঋগ্গ্বেদের সময়কালের সামাজিক জীবন কীরূপ ছিল?
উঃ ঋগ্গ্বেদের সময়কালের সামাজিক জীবন ছিল পিতৃতান্ত্রিক।
১১. ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডলের প্রথম সূক্তের ঋষি, ছন্দ ও দেবতা কে?
উঃ ঋগ্গ্বেদের প্রথম মণ্ডলের প্রথম সূক্তের ঋষি হলেন মধুচ্ছন্দা, ছন্দ হল গায়ত্রী এবং দেবতা হলেন অগ্নি।
১২. ঋগ্গ্বেদের কটি শাখা ও কী কী?
উঃ বর্তমানে ঋগ্গ্বেদের দুটি শাখা পাওয়া যায়—শাকল এবং বাস্কল।
১৩. ঋগ্গ্বেদের কোন্ মণ্ডলকে সোমমণ্ডল বলে?
উঃ ঋগ্বেদের নবম মণ্ডলকে সোমমণ্ডল বলা হয়। কারণ, এই মণ্ডলে কেবলমাত্র সোমদেবতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ঋষির দ্বারা দৃষ্ট মন্ত্রগুলি স্থান পেয়েছে।
১৪. সোমমণ্ডলের সূক্ত সংখ্যা কত?
উঃ সোমমণ্ডলের সূক্ত সংখ্যা ১১৪।
১৫. ঋগ্গ্বেদের প্রকীর্ণ মণ্ডল কোন্গুলি?
উঃ ঋগ্গ্বেদের প্রথম এবং দশম মণ্ডল হল প্রকীর্ণ মণ্ডল। এই মণ্ডলগুলিতে বহু বিচিত্র ধরনের সূক্ত স্থান পেয়েছে।
১৬. ঋগ্বেদের একটি অধ্যাত্মিক সূক্তের নাম লেখো।
উঃ ঋগ্বেদের একটি অধ্যাত্মিক সূক্ত হল দেবীসূক্ত।
১৭. ঋগবেদের একটি ব্রাহ্মণের নাম লেখো।
উঃ ঋগ্গ্বেদের একটি ব্রায়ণ হল ঐতরেয় ব্রাক্ষ্মণ।
১৮. ঋগ্গ্বেদের দুজন নারী ঋষির নাম লেখো।
উঃ ঋগ্গ্বেদের দুজন নারী ঋষি হলেন ঘোষা এবং পৌলোমী।
সামবেদের ওপর প্রশ্ন
১৯. সামবেদ নামটির মধ্যে সাম শব্দের অর্থ কী?
উঃ সামবেদ নামটির মধ্যে সাম শব্দের অর্থ হল গান।
২০. সামবেদের কটি শাখা ও কী কী?
উঃ সামবেদের তিনটি শাখা—কৌথুমী, রাণায়নীয় এবং জৈমিনীয়।
২১. সামবেদ সংহিতা কয়ভাগে বিভক্ত ও কী কী?
উঃ সামবেদ সংহিতা দুভাগে বিভক্ত— পূর্বাচিক ও উত্তরার্চিক।
২২. সামবেদের মন্ত্রগুলির অধিকাংশ কোন্ বেদ থেকে নেওয়া? তাদের সংখ্যা কত?
উঃ সামবেদের মন্ত্রগুলির অধিকাংশ ঋগ্বেদ থেকে নেওয়া। তাদের সংখ্যা ১৭৩৫।
২৩. সামবেদে কত প্রকারের গান আছে ও কী কী?
উঃ সামবেদে চার প্রকারের গান আছে— গ্রাম গেয়, অরণ্য গেয়, ঊহ এবং ঊহ্য।
২৪. সামবেদের দুজন ভাষ্যকারের নাম লেখো।
উঃ সামবেদের দুজন ভাষ্যকার হলেন সায়ণাচার্য এবং ভরতস্বামী।
২৫. সামবেদের একটি উপনিষদের নাম লেখো।
উঃ সামবেদের একটি উপনিষদ হল কেনোপনিষদ।
২৬. সামবেদে মোট কটি মন্ত্র আছে এবং তার মধ্যে ঋক্মন্ত্র কটি ?
উঃ সামবেদে মোট ১৮১০টি মন্ত্র আছে এবং তার মধ্যে ৭৫টি মন্ত্র ছাড়া সব ঋক্মন্ত্র।
যজুর্বেদের ওপর প্রশ্ন
২৭. যজুর্বেদের দুজন ভাষ্যকারের নাম লেখো।
উঃ যজুর্বেদের দুজন ভাষ্যকার হলেন উবট এবং মহীধর।
২৮. শুক্ল যজুর্বেদের একটি ব্রাহ্মণের নাম লেখো।
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের একটি ব্রায়ণ হল শতপথ ব্রাক্ষ্মণ।
২৯. যজুর্বেদ সংহিতার কয়টি ভাগ ও কী কী?
উঃ যজুর্বেদ সংহিতার দুটি ভাগ— শুক্ল যজুর্বেদ ও কৃষ্ণ যজুর্বেদ।
30. শুক্ল যজুর্বেদের অপর নাম কী?
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের অপর নাম বাজসনেয়ী সংহিতা।
31. শুক্ল যজুর্বেদের আরণ্যক একটির নাম লেখো।
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের একটি আরণ্যক হল বৃহদারণ্যক।
32. কৃষ্ণ যজুর্বেদের ব্রাহ্মণ কী নামে পরিচিত?
উঃ কৃষ্ণ যজুর্বেদের ব্রাক্ষ্মণ তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত।
33. শুক্ল যজুর্বেদের কটি শাখা ও কী কী?
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের দুটি শাখা— মাধ্যন্দিন ও কাথ।
34 শুক্ল যজুর্বেদ সংহিতায় কটি অধ্যায় আছে?
উঃ শুক্ল যজুর্বেদ সংহিতায় ৪০টি অধ্যায় আছে।
35. শুক্ল যজুর্বেদ সংহিতায় কটি কণ্ডিকা আছে?
উঃ শুক্ল যজুর্বেদ সংহিতায় ১৯১৫ কণ্ডিকা আছে।
36. শুক্ল যজুর্বেদের ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থটির নাম কী?
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থটির নাম শতপথ ব্রাক্ষ্মণ।
37. শুক্ল যজুর্বেদের একটি উপনিষদের নাম লেখো।
উঃ শুক্ল যজুর্বেদের একটি উপনিষদ হল ঈশোপনিষদ।
অথর্ববেদের ওপর প্রশ্ন
38. অথর্ববেদের ব্রাহ্মণ গ্রন্থটির নাম লেখো।
উঃ অথর্ববেদের ব্রাহ্মণ গ্রন্থটি হল গোপথ ব্রাক্ষ্মণ।
39. অথর্ববেদে কটি কাণ্ড আছে?
উঃ অথর্ববেদে ২০টি কাণ্ড আছে।
40. অথর্ববেদের নামকরণের কারণ কী?
উঃ প্রাচীন কালে অথবন্ নামে এক শ্রেণির অগ্নি উপাসক ছিলেন। তাঁরা ছিলেন ইন্দ্রজাল বিদ্যায় পারদর্শী। তাঁরা একটি বেদকে পঠনপাঠনের মাধ্যমে রক্ষা করেছিলেন। এই অথবদের দ্বারা রক্ষিত হয়েছিল বলে বেদটিকে অথর্ববেদ বলা হয়৷
41. অথর্ববেদের মন্ত্রের ভাগটি কেমন?
উঃ অথর্ববেদে ২০টি কাণ্ড, ৩৮টি প্রপাঠক, ৯০টি অনুবাক্, ৭৩১টি সূক্ত এবং প্রায় ৬০০০ মন্ত্র আছে।
42. অথর্ববেদে সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচিত গল্পটির নাম কী?
উঃ অথর্ববেদে সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচিত গল্পটির নাম মনুমৎস্যকথা।
43. অথর্ববেদের ব্রাহ্মণ ও দুটি উপনিষদের নাম লেখো।
উঃ অথর্ববেদের ব্রায়ণ হল গোপথ ব্রাক্ষ্মণ এবং দুটি উপনিষদ হল মুণ্ডক ও মাণ্ডুক্য।
44. অথর্ববেদের পৈপ্পলাদ শাখার পুথি কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছিল?
উঃ অথর্ববেদের পৈপ্পলাদ শাখার পুথি ভারতবর্ষের ওডিশা রাজ্য থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল।