PC Header Top Ads

Type Here to Get Search Results !

Display Responsive Ads

পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত প্রধান ভূমিরূপগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও|উচ্চগতিতে সৃষ্ট ভুমিরূপ|চিত্রসহ নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গড়ে ওঠা দুটি ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও

উচ্চগতিতে নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ| 

পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ ব্যাপক ভাবে নদীর নিম্নক্ষয় করা

সেগুলি হলো

1.ক্যানিয়ন ⴾ শুষ্ক মরু অঞ্চল বা কোমল শিলাযুক্ত অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয় বেশি হলে নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সুদীর্ঘ হয়ে অনেকটা ইংরাজি ‘ I ’ অক্ষরের মতো হয় । ‘ I ’ আকৃতির উপত্যকা বা ক্যানিয়ন বলে ।

 উদাহরণ : ( i ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর ওপর  অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রায় 349 কিমি দীর্ঘ , 6-20 কিমি প্রস্থ ও 1-61 কিমি গভীর । এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন । ( ii ) পেরু দেশের কলকা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম ( 4,375 মি . ) ক্যানিয়ন । 

 2.গিরিখাত ⴾ  উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে খাড়া ঢালের জন্য নদী তীব্র বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে বলে নদী পার্শ্বক্ষয় না করে তলদেশ ক্ষয় করে । ফলে নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘ V ’ অক্ষরের আকৃতি ধারণ করলে তাকে ‘ V ’ আকৃতির উপত্যকা বা গিরিখাত বলে ।

চিত্র:A=I V আকৃতির উপত্যকা চিত্র  B=V আকৃতির উপত্যকা ছবি


উদাহরণ : ( i ) চীনের ইয়াংসিকিয়াং নদীর 250 কিমি দীর্ঘ ইচাং গিরিখাতটি বিখ্যাত । ( ii ) নেপালের কালী নদী উপত্যকা। এটি পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত |


3.মন্থকূপ বা পটহোল  নদীর জলের সঙ্গে বাহিত নুড়ি বা প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে বা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর তলদেশে যে হাঁড়ি বা পাখির বাসার মতো ছোটো ছোটো গোলাকার মসৃণ গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে মন্থকূপ  বলে । 

উদাহরণ : তিস্তা নদীর পার্বত্যপ্রবাহে অনেক স্থানে মন্থকূপ দেখা যায় । 

4 জলপ্রপাত ও প্লাঞ্জপুল   পার্বত্য নদী যখন হঠাৎ কোনো অংশে খাড়াভাবে ওপর থেকে  বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন তাকে জলপ্রপাত বলে |জলপ্রপাতের নীচে যেখানে জল এসে পড়ে সেখানে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে প্লাঞ্জপুল বা প্রপাতকূপ । 

চিত্র:প্লাঞ্জপুল বা প্রপাতকূপ



উদাহরণ : ( i ) সরাবতী নদীর ওপর যোগ বা গেরসোপ্পা ( 247 মিঃ ) ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত । ( ii ) ভেনেজুয়েলার কারাও কারোনির সাল্টো অ্যাঞ্জেল পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত । 

5.আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা :  পার্বত্য অঞ্চলে অসংখ্য শৈলশি   আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করলে নদী এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। দূর থেকে শৈলশিরাগুলিকে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হয় । একে আবদ্ধ শৈলশিরা বলে |

উদাহরণ : তিস্তা নদীর পার্বত্য অংশে এটি দেখা যায় ।

 6 কর্তিত শৈলশিরা  পার্বত্য প্রবাহে তীব্র জলস্রোতের আঘাতে শৈলশিরাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নদী সোজা প্রবাহিত হলে ওই ক্ষয়প্রাপ্ত শৈলশিরাকে কর্তিত শৈলশিরা বলে । 

উচ্চগতিতে নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ 

 1 নদীখাতে সঞ্চিত প্রস্তর খণ্ড  উচ্চগতিতে নদীর প্রধা | কাজ ক্ষয়সাধন । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষয়জাত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে নদীখাতে বোল্ডার কাদা , নুড়ি , কাঁকর প্রভৃতি সণিত হয় ।

2. পলি শঙ্কু   পার্বত্য গতি থে  েনদীর সমতলভূমিতে নামামাত্র নদী পলি , বালি প্রভৃতি সঞ্চিত করে যে শঙ্কু আকৃতি বর্ষাকালে ভূমিরূপের সৃষ্টি করে তাকে পলি শঙ্কু বলে । পাখার মতো সঞ্চিত হলে তাে পলল ব্যজনী বা পলল পাখা বলে । 

 *V আকৃতির উপত্যকা কাকে বলে?

👉উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে খাড়া ঢালের জন্য নদী তীব্র বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে বলে নদী পার্শ্বক্ষয় না করে তলদেশ ক্ষয় করে । ফলে নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘ V ’ অক্ষরের আকৃতি ধারণ করলে তাকে ‘ V ’ আকৃতির উপত্যকা বা গিরিখাত বলে ।

*V আকৃতির উপত্যকা ছবি?

👆

*গিরিখাত ও ক্যানিয়ন কাকে বলে?[Girikhat kake bale]

শুষ্ক মরু অঞ্চল বা কোমল শিলাযুক্ত অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয় বেশি হলে নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সুদীর্ঘ হয়ে অনেকটা ইংরাজি ‘ I ’ অক্ষরের মতো হয় । ‘ I ’ আকৃতির উপত্যকা বা ক্যানিয়ন বলে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section