উচ্চগতিতে নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ|
পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ ব্যাপক ভাবে নদীর নিম্নক্ষয় করা
সেগুলি হলো
1.ক্যানিয়ন ⴾ শুষ্ক মরু অঞ্চল বা কোমল শিলাযুক্ত অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয় বেশি হলে নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সুদীর্ঘ হয়ে অনেকটা ইংরাজি ‘ I ’ অক্ষরের মতো হয় । ‘ I ’ আকৃতির উপত্যকা বা ক্যানিয়ন বলে ।
উদাহরণ : ( i ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর ওপর অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রায় 349 কিমি দীর্ঘ , 6-20 কিমি প্রস্থ ও 1-61 কিমি গভীর । এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন । ( ii ) পেরু দেশের কলকা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম ( 4,375 মি . ) ক্যানিয়ন ।
2.গিরিখাত ⴾ উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে খাড়া ঢালের জন্য নদী তীব্র বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে বলে নদী পার্শ্বক্ষয় না করে তলদেশ ক্ষয় করে । ফলে নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘ V ’ অক্ষরের আকৃতি ধারণ করলে তাকে ‘ V ’ আকৃতির উপত্যকা বা গিরিখাত বলে ।
উদাহরণ : ( i ) চীনের ইয়াংসিকিয়াং নদীর 250 কিমি দীর্ঘ ইচাং গিরিখাতটি বিখ্যাত । ( ii ) নেপালের কালী নদী উপত্যকা। এটি পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত |
3.মন্থকূপ বা পটহোল ⴾ নদীর জলের সঙ্গে বাহিত নুড়ি বা প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে বা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর তলদেশে যে হাঁড়ি বা পাখির বাসার মতো ছোটো ছোটো গোলাকার মসৃণ গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে মন্থকূপ বলে ।
উদাহরণ : তিস্তা নদীর পার্বত্যপ্রবাহে অনেক স্থানে মন্থকূপ দেখা যায় ।
4 জলপ্রপাত ও প্লাঞ্জপুল ⴾ পার্বত্য নদী যখন হঠাৎ কোনো অংশে খাড়াভাবে ওপর থেকে বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন তাকে জলপ্রপাত বলে |জলপ্রপাতের নীচে যেখানে জল এসে পড়ে সেখানে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে প্লাঞ্জপুল বা প্রপাতকূপ ।উদাহরণ : ( i ) সরাবতী নদীর ওপর যোগ বা গেরসোপ্পা ( 247 মিঃ ) ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত । ( ii ) ভেনেজুয়েলার কারাও কারোনির সাল্টো অ্যাঞ্জেল পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত ।
5.আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা : পার্বত্য অঞ্চলে অসংখ্য শৈলশি আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করলে নদী এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। দূর থেকে শৈলশিরাগুলিকে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হয় । একে আবদ্ধ শৈলশিরা বলে |
উদাহরণ : তিস্তা নদীর পার্বত্য অংশে এটি দেখা যায় ।
6 কর্তিত শৈলশিরাⴾ পার্বত্য প্রবাহে তীব্র জলস্রোতের আঘাতে শৈলশিরাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নদী সোজা প্রবাহিত হলে ওই ক্ষয়প্রাপ্ত শৈলশিরাকে কর্তিত শৈলশিরা বলে ।
উচ্চগতিতে নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
1 নদীখাতে সঞ্চিত প্রস্তর খণ্ড ⴾ উচ্চগতিতে নদীর প্রধা | কাজ ক্ষয়সাধন । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষয়জাত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে নদীখাতে বোল্ডার কাদা , নুড়ি , কাঁকর প্রভৃতি সণিত হয় ।
2. পলি শঙ্কু ⴾ পার্বত্য গতি থে েনদীর সমতলভূমিতে নামামাত্র নদী পলি , বালি প্রভৃতি সঞ্চিত করে যে শঙ্কু আকৃতি বর্ষাকালে ভূমিরূপের সৃষ্টি করে তাকে পলি শঙ্কু বলে । পাখার মতো সঞ্চিত হলে তাে পলল ব্যজনী বা পলল পাখা বলে ।
*V আকৃতির উপত্যকা কাকে বলে?
👉উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে খাড়া ঢালের জন্য নদী তীব্র বেগে নীচের দিকে নামতে থাকে বলে নদী পার্শ্বক্ষয় না করে তলদেশ ক্ষয় করে । ফলে নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘ V ’ অক্ষরের আকৃতি ধারণ করলে তাকে ‘ V ’ আকৃতির উপত্যকা বা গিরিখাত বলে ।
*V আকৃতির উপত্যকা ছবি?
👆
*গিরিখাত ও ক্যানিয়ন কাকে বলে?[Girikhat kake bale]
⇒শুষ্ক মরু অঞ্চল বা কোমল শিলাযুক্ত অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয় বেশি হলে নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সুদীর্ঘ হয়ে অনেকটা ইংরাজি ‘ I ’ অক্ষরের মতো হয় । ‘ I ’ আকৃতির উপত্যকা বা ক্যানিয়ন বলে