PC Header Top Ads

Type Here to Get Search Results !

Display Responsive Ads

খাদ্যের উৎস ও গুরুত্ব

খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি?
খাদ্যের সহায়ক উপাদান কয়টি ও কি কি?
প্রধান তিন প্রকার খাদ্যের উৎস ও পুষ্টির গুরুত্ব উল্লেখ করো।


খাদ্যের উপাদান গুলি কি কি?
খাদ্যের উপাদানঃ


খাদ্যের উপাদান গুলি হল- কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ-লবণ ও জল।


প্রধান তিন প্রকার খাদ্যঃ
খাদ্যের মুখ্য উপাদান কয়টি?


কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও ফ্যাট।


শর্করা জাতীয় খাদ্য কাকে বলে?
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাঃ
কার্বোহাইড্রেট কি?
শর্করা কী?

কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত ২:১ অনুপাতে থাকে, তাকে কার্বোহাইড্রেট বলে।


কার্বোহাইড্রেট এর উৎসঃ


কার্বোহাইড্রেট প্রধান উৎস উদ্ভিজ্জ খাদ্য। চাল, গম, ভুট্টা, বাজরা, আলু, ডাল, কচু, বিট, গাজর ইত্যাদি তে।

স্টার্চঃ খেজুর, আঙ্গুর, আপেল ইত্যাদি
গ্লুকোজঃ শাকসবজি, বেল, তরমুজ, থোড়া ইত্যাদি।

সেলুলোজঃ আম, কমলালেবু, কলা ইত্যাদি পাকা ফলে।
ফ্রুক্টোজঃ চিনি, গুড়, মিছরি ইত্যাদিতে।
সুক্রোজঃ দুধে।
ল্যাকটোজঃ পাঁঠার যকৃত ও পেশিতে গ্লাইকোজেন বা প্রাণী শ্বেতসার পাওয়া যায়।


পুষ্টিগত গুরুত্ব বা কাজঃ

  1. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য প্রধানত শক্তি সঞ্চয়ী খাদ্য। দেহে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাপ শক্তি উৎপাদন করা কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান কাজ। ১ গ্রাম শর্করা থেকে ৪.০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
  2. সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে।
  3. গ্লাইকোজেন প্রাণীদেহের যকৃৎ ও‌ পেশিতে সঞ্চিত থাকে, যা প্রয়োজনের সময় গ্লুকোজ উৎপাদন করে দেহে অতিরিক্ত তাপ শক্তি সৃষ্টি করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
  4. এটি উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর গঠনে সাহায্য করে।
  5. উদ্ভিদদেহে এটি শ্বেতসার রূপে ভবিষ্যতের খাদ্যরূপে সঞ্চিত থাকে।
  6. আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের প্রায় ৪০% (প্রায় 400 গ্রাম) এই প্রকার খাদ্য থেকে সংগ্রহীত হয়।

 

 

প্রোটিন বা আমিষঃ
প্রোটিন কি?
আমিষ কি?

প্রোটিন একপ্রকার নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ। এটি কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন সহযোগে গঠিত।

প্রোটিনের উৎসঃ
প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি?

মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ছানা প্রভৃতিতে প্রাণীজ প্রোটিন এবং ডাল, সোয়াবিন, গম ইত্যাদিতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রাণীজ প্রোটিন এর অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিডের প্রায় সবগুলোই বর্তমান থাকায় প্রাণীজ প্রোটিনকে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন বলা হয়।


প্রোটিনের পুষ্টিগত গুরুত্ব বা কাজঃ

  1. দেহের বৃদ্ধি, কোষ গঠন এবং ক্ষয়পূরণ প্রোটিন এর প্রধান কাজ।
  2. প্রোটিন তাপ শক্তি উৎপাদনেও সহায়তা করে। ১ গ্রাম প্রোটিন থেকে ৪.১ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
  3. দেহস্থ উৎসেচক, হরমোন ইত্যাদি সৃষ্টি করা।
  4. অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা পূরণ করা।
  5. প্রোটোপ্লাজম ও ক্রোমোজোমের গঠন কাঠামো সৃষ্টি করা।

 

স্নেহপদার্থ বা ফ্যাটঃ
চর্বি জাতীয় খাদ্যঃ
স্নেহ পদার্থ কাকে বলে?

কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত যে যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন জলের অনুপাতে থাকে না তাদের ফ্যাট বা লিপিড বলে।


উৎসঃ
চর্বি জাতীয় খাবার কি কি?

বাদাম, নারকেল, সরষে, তুলো বীজ, রেড়ি বীজ, তিল, সোয়াবিন ইত্যাদিতে উদ্ভিজ্জ ফ্যাট এবং মাখন, ঘি, চর্বি, ডিম, যকৃৎ নিঃসৃত তেল ইত্যাদিতে প্রাণীজ ফ্যাট পাওয়া যায়।

স্নেহপদার্থের পুষ্টিগত মূল্য বা কাজঃ

  1. তাপশক্তি উৎপন্ন করা স্নেহ পদার্থের প্রধান কাজ। ১ গ্রাম ফ্যাট থেকে ৯.৩ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
  2. প্রাণী দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করা।
  3. স্নেহপদার্থ প্রাণীদেহে মেদরূপে ভবিষ্যতের খাদ্য রূপে সঞ্চিত থাকে।
  4. A, D, E এবং K ভিটামিনকে দ্রবীভূত রাখা এবং এদের শোষণের সহায়তা করা।
  5. অ্যাড্রিনোটর্টিকয়েড, যৌন হরমোন ভিটামিন ডি এবং কোলিক অ্যাসিড কোলেস্টেরল জাতীয় ফ্যাট থেকে সংশ্লেষিত হয়।
  6. ফ্যাট কোষ পর্দা গঠনে সহায়তা করে।
  7. ফ্যাট জলে দ্রবীভূত না হওয়ায় দেহে ভবিষ্যতের খাদ্যরূপে সঞ্চিত থাকে। আমাদের খাদ্যের ২০-২৫ শতাংশ স্নেহদ্রব্য বা ফ্যাট থাকা প্রয়োজন।

 

 

 

১. প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য কাকে বলে বা প্রোটিন মিতব্যয়ী খাদ্য কাকে বলে?
উঃ প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ না করেও শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য, বিশেষ করে শ্বেতসার খেয়েও মানুষ সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। এইজন্য কার্বোহাইড্রেটকে প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য বলা।
২. কার্বোহাইড্রেট এর তাপন মূল্য কত?
উঃ ৪.০ ক্যালোরি।
৩. কার্বোহাইড্রেটের কোন উপাদানটি থাকেনা যা প্রোটিন থাকে?
উঃ নাইট্রোজেন।
৪. প্রোটিন বেশি খেলে কি হয়?
উঃ অ্যামিলইডোসিস রোগ হয়।
৫. প্রোটিন এর বাংলা অর্থ কি?
উঃ দেহসার, পলীয় বা আমিষ।
৬. প্রোটিনের একক কি?
উঃ অ্যামাইনো এসিড।
৭. প্রোটিনের তাপন মূল্য কত?
উঃ ৪.১ ক্যালোরি।
৮. ফ্যাটের তাপন মূল্য কত?
উঃ ৯.৩ ক্যালোরি।
৯. লিপির জাতীয় খাবার না খেলে কি সমস্যা হয়?
উঃ দুর্বলতা, চুল পড়া, শুকনো ত্বক এছাড়া ভিটামিন অভাবজনিত লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায়।
১০. আমিষের অভাব জনিত রোগ কি?
উঃ কোয়াশগয়রকর।



 


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section