ভারতবর্ষ পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ ।
এই দেশে তিনদিক সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত। ভারতে লাক্ষাদ্বীপ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। এই দেশে এখনো পর্যন্ত মোটামুটি ১,৩৮২টি দ্বীপ চিহ্নিত করা গেছে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কিছু দ্বীপের অবস্থান প্রশ্ন আসে তেমনি কতগুলো দ্বীপের সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
- ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপসমূহঃ-
শ্রীহরিকোটা –
অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায়, বঙ্গোপসাগরের তীরে, পুলিকট হ্রদে অবস্থিত। এখানকার আবহাওয়া তপ্ত গরম ও মৃদু শীত এটি ১৬ কিমি রাস্তা দ্বারা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শ্রীহরিকোটা চেন্নাই শহর থেকে 70 কিমি উত্তরে অবস্থিত। এখানে সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এখান থেকে ভারতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়।
হুইলার -
এটি বঙ্গোপসাগরে ওড়িষ্যা উপকূলে অবস্থিত। হুইলার দ্বীপটি ২০১৫ সালে নতুন নামকরণ করা হয়েছে "আব্দুল কালাম দ্বীপ" এটি উড়িষ্যা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৫০কিমি পূর্বে অবস্থিত। এখান থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী মিসাইল পরীক্ষা করে।
শিবসমুদ্রম -
এটি কাবেরী নদীতে অবস্থিত। শিবসমুদ্রম একটি জলপ্রপাত যার নামে এই দ্বীপটির নামকরণ হয়েছে। জলপ্রপাতটি দুটি ভাগে বিভক্ত একটি হল গগনাচৌকি অপরটি হল বড়ােচৌকি।
ক্যাটেল –
এটি ওড়িশায় মহানদীর উপর অবস্থিত। এই দ্বীপের নিকটেই হীরাকুঁদ বাঁধ গড়ে উঠেছে। এই দ্বীপে বর্তমানে অভয়ারণ্য রয়েছে।
সাগরদ্বীপ -
এটি পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গানদীর মােহনা ও বঙ্গোপসাগরে মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত। গঙ্গার পলি সঞ্জয়ের ফলে এটি তৈরি হয়েছে যা কলকাতা থেকে 100 কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এই দ্বীপটি কপিল মুনির আশ্রমের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রতি মকর সংক্রান্তিতে প্রচুর মানুষ গঙ্গাস্নান করতে আসে।
হ্যাভেলক –
এটি অবস্থিত আন্দামানে। এই দ্বীপটি আন্দামানের অন্যতম বৃহৎ দ্বীপ। এই দ্বীপটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত। এখানকার সমুদ্র সৈকতগুলির মনােরম শােভা সকল মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়। এখানেই ভারতের প্রথম সমুদ্র বিমান পরিষেবা চালু হয়। বিমানটি হল পবন হংস।
ব্যারেন -
এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এটি আন্দামান সাগরে অবস্থিত। এই দ্বীপে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থাকার ফলে মানুষ ও বসতির উপযুক্ত না হলেও কিছু প্রজাতির প্রাণী ও পাখি এখানে বসবাস করে।
কচ্ছতিভা –
এই ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী পকপ্রণালীতে অবস্থিত। এই দ্বীপটি আসলে ভারতের অংশ ছিল কিন্তু ১৯৭৪ সালে শ্রীলঙ্কা কিছু শর্তের দ্বারা এই দ্বীপটির মালিকানা পায়। বর্তমানে এই দ্বীপে ক্যাথলিকমঠ আছে। শ্রীলঙ্কা সরকার এটিকে পবিত্র স্থান হিসাবে ঘােষণা করেছে।
মাজুলি –
এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর উপরে অবস্থিত। এখানে বর্তমানে কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিটি মানুষকে আকর্ষণ করে তাই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি UNESCO দ্বারা ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে গণ্য হয়েছে।
কেইবুল লামজাও -
আসলে লেকটাক হ্রদের উপর অবস্থিত পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান উদ্যান। এটি কিছু জলীয় উদ্ভিদ, বায়োমাস, উদ্ভিদ দেহাবশেষ ও আবর্জনা একত্রিত হয়ে গঠিত হয়েছে। এটি মনিপুর রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় অবস্থিত।