PC Header Top Ads

Type Here to Get Search Results !

Display Responsive Ads

কি হবে যদি পরামানু বোমা মহাকাশে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়?

কি হবে যদি পরামানু বোমা মহাকাশে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়?

www.etcbangla.com
www.etcbangla.com


কি হবে যদি পরামানু বোমা মহাকাশে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়? আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, "কোনো ইদুর নিজেকে বন্দি করার কল নীজে বানায় না, কিন্তু মানুষ নিজেকে মারার জন্য পরামানু বোমা বানিয়েছে।" ৬ই আগস্ট ১৯৪৫ হিরোসিমা ও ৯ই আগস্ট ১৯৪৫ নাগাসাকি আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরমানু বোমা ফেলেছিল। এতে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল এর থেকেই বোঝাযায় ভূমিতে পরমানু বোমা বিস্ফোরণের ফলাফল কতো মারাত্মক হতে পারে।


১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত আমেরিকা ও সভিয়েত ইউনিয়ন পরমানু বোমার হাই আল্টিটিউট অনেকগুলো টেস্ট করেছে। যেটা ভূমি থেকে ৮০ কিমি উপরে পরমানু বোমা বিস্ফোট করানো হয়।


১৯৬২ সালে আমেরিকা অপারেশন "ফিশ বাউল" এর অধীনে আকাশে একটি বোমা বিস্ফোট করে, যেখানে বিস্ফোট ঘটানো হয়েছিলো ১৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে এর এফেক্ট দেখা গিয়েছিল। ঠিক যেনো রাতে সূর্য উদয় হয়েছে এর ফলে নিরক্ষরেখা অঞ্চলেই আরোরা দেখা গিয়েছিল। আরোরা একমাত্র মেরু অঞ্চলেই দেখা যায়।


আমেরিকা ১৯৬২ সালেই আকাশে ৪০০ কিমি উপরে ১.৪ মেগাটন একটি নিউক্লিয়ার বোম্ব টেস্ট করে যেখানে আগুনের গোলা তৈরি হয়, যেটা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পাল্স তৈরি করে যেটি ১০০০ কিমি দূর থেকে ডিটেক্ট করা গেছে। এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পাল্স ফ্রিকুয়েন্সি বেশী হলে সমস্ত ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি খারাপ হয়ে যায়, আর সেটাই হয়েছিলো রাডার সিস্টেম, টেলিফোন সিস্টেম, নেভিগেশন সিস্টেম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া আমেরিকার ৬ এর বেশী উপগ্রহ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।।



আরো পড়ুনঃ

ভারতবর্ষ যেখানে আজও সাপ নিয়ে 70% মানুষের মনের চরম অশিক্ষার অন্ধকার এবং গুজব বাসা বেঁধে আছে...... 



এতো গেলো ১.৪ মেগাটন নিউক্লিয়ার বোম্বা, সোবিয়েত ইউনিয়ান "জার বোম্ব" বানিয়েছিল যার ওজন ছিল ৫০ মেগাটন।

এটা যখন টেস্ট করা হয়েছিল তখন যে ছাতার ন্যায় মেঘ তৈরি হয়েছিল তার উচ্চতা ছিল ৬৫ কিমি এবং এটি ১৬১ কিমি দূর থেকেও খুব বড়ো দেখাচ্ছিল এবং যে আগুনের গোলা তৈরি হয়েছিল সেটা ৩.৫ কিমি চওড়া ছিল।

এখন মহাকাশে বোম্ব বিস্ফরন করলে কি হবে? আমরা জানি মহাকাশে কোনো বায়ুমন্ডল নেই তাই সেখানে কোনো ছাতার ন্যায় মেঘ তৈরি হবে না। কিন্তু যে আগুনের গোলা তৈরি হবে, বিস্ফোরণের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খালি চোখে তাকালে, চোখ পুরোপুরি অন্ধ করে দেবে।।

এই নিউক্লিয়ার বোম্ব বিস্ফোরণের ফলে যে রেডিয়েশান তৈরি হবে সেটি পৃথিবীর সমস্ত উপগ্রহ, টেলিস্কোপ নষ্ট করে দেবে, যদি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন রেডিয়াশনের প্রভাব পড়ে তাহলে স্পেস স্টেশনের ভেতর থাকা মহাকাশচারীরা রেডিয়াশানের কবলে পড়বে।

এই রেডিয়েশন কিন্তু বায়ুমন্ডল ভেদ করে পৃথিবী পৃষ্টে পৌছাতে পারবে না কিন্তু এই রেডিয়েশন বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে আরোরার সৃষ্টি করবে। এছাড়া ঐ স্থানে রেডিয়েশান বছরের পর বছর রয়ে যাবে।


যদি "জার বোম্বা" কে মহাকাশে বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা ভাবা হয়, তাহলে তাকে মহাকাশে পেরন করা যে সে রকেটের কাজ নয়। একমাত্র নাসা ও চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ-এর রকেটই "জার বোম্বা" র মতো বোমা কে মহাকাশে পেরন করতে সক্ষম।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section