PC Header Top Ads

Type Here to Get Search Results !

Display Responsive Ads

চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

Personality Test Bengali পার্সোনালিটি টেষ্ট কি


পার্সোনালিটি একটি ইংরেজি Term-এর বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ব্যক্তিত্ব এবং Test-এর বাংলা অর্থ ‘পরীক্ষা। অর্থাৎ Personality Test-এর বাংলা অর্থ ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা। ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা আর Interview কিন্তু এক জিনিস নয়। Interview সাধারণ অন্যান্য চাকরীর ক্ষেত্রে নেওয়া হয় যেখান নিয়ােগকর্তারা যাচাই করেন যে আপনি ঐ কাজ ঠিক সময়ে, ঠিক পরিশ্রম দিয়ে করতে পারবেন কিনা। 

কিন্তু Personality Test-এ আপনার ব্যক্তিত্বকে পরীক্ষা করা হবে, কারণ কিছু কিছু চাকরি হল সমাজের সবচেয়ে সম্মানজনক জীবিকা, আর এই জীবিকার জন্য নিশ্চয় এমন মানুষকে তারা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন যাকে দেখে সমাজের প্রতিটি মানুষ কিছু না কিছু শেখবার চেষ্টা করবেন।


ইন্টারভিউ প্রস্তুতি

অনেকে এই ধারণা নিয়ে থাকেন লিখিত পরীক্ষায় তাে সফল হয়েছি, এবারে বােধহয় কিছু টাকা পয়সা না দিলে বা কোন নেতাকে না ধরলে চাকরীটা আর পাব না। (আচ্ছা গতবারের পরীক্ষার রেজাল্টকে আপনার সামনে আনুন তাে, মােট পরীক্ষার্থী ১০ লাখের মতাে। আর শুধু যােগ্যতামান পেরিয়েছেন মাত্র ৩৫ হাজারের মতাে। 

তাহলে ভাবুন তাে আপনিও ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থীর একজন। তাহলে আপনার যদি কোন যােগ্যতাই না থাকে তবে আপনি কি পাশ করতেন? অথবা আপনার আশেপাশে যারা পাশ করতে পারেনি, তাদের সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেখে নিন তাে, যারা পাশ করে নি, তারা সত্যিই কি আপনার মতাে পড়াশুনা করেছিলাে। উত্তর আপনি নিজে নিজেই বের করতে পারবেন। তাই নিজের প্রতি ভরসা ও আত্মবিশ্বাস রাখুন আপনি সফল হবেনই।

 

এতদিনে নিশ্চয় আপনারা জেনে গেছেন আপনার জন্য কোন দিনটি পার্সোনালিটি Test-এর জন্য ঠিক হয়েছে। পার্সোন্যালিটি Test সাধারণত রিজিওনাল বা হেড অফিসগুলিতেই নেওয়া হয়। ফলে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে পৌঁছতে যাতে কোন অসুবিধে না হয় তা আগেই দেখে আসবেন। 

কিভাবে যাওয়া যায়, বা অন্যান্য বিকল্প যেভাবে আপনি ওখানে যাবেন। এরপর যেটা অবশ্য করণীয় সেটি হল যদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের University পাশ Certificate-টি না তােলেন তাহলে সব মাটি হয়ে যাবে। সেখানে আপনার মার্কশীট, রেজিস্ট্রেশান নম্বর কিছুই বিবেচ্য হবে না। হয়তাে আপনার Test-ই নেওয়া হবে না।


সঙ্গে অবশ্যই নিয়ে যাবেন—চার কপি পাসপাের্ট মাপের প্রত্যয়িত ফটো, বয়স, শিক্ষাগত যােগ্যতার প্রমাণ, প্রযােজ্য ক্ষেত্রে কাস্ট সার্টিফিকেট। মূল সার্টিফিকেটগুলির সঙ্গে সেগুলির নকলও নিয়ে যাবেন। শারীরিক প্রতিবন্ধীরা সাম্প্রতিক ডাক্তারিসা র্টিফিকেট এবং আইডেনটিটি কার্ড সঙ্গে রাখবেন। চাকুরিরতদের নাে-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। তাই এই কদিনে ঐগুলি সংগ্রহ করে রাখুন


এই প্রসঙ্গে বলি অনেকের অতিরিক্ত অনেক গুণাবলী থাকে। তাদের Certificate গুলিও সাথে নিয়ে যেতে পারেন। তবে বাের্ডকর্তারা নিজে থেকে কিছু জিজ্ঞেস না করলে ঐ প্রসঙ্গে উপযাচক হয়ে কিছু বলবেন না। কারণ অনেকসময় অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা খারাপ ফল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। যাইহােক আপনি যথাসম্ভব তৈরী হয়ে যান। কারণ যে রঙিন প্রজাপতি আপনার হাতের মুঠোয়, সামান্য অসতর্কতায় তা যেন উড়ে না যায়।

 

ইন্টারভিউয়ের দিন কি করনীয়ঃ

যথাসময়ে তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়ুন। প্রথমেই একটি হল ঘরে আপনার যাবতীয় পরীক্ষার মার্কশিট ও শংসাপত্রগুলি পরীক্ষা করা হবে। তারপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের নাম ধরে ডাকা হবে। আপনাকে আবার অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। এখান থেকেই পরপর ডাকা হবে। এই সময়ে যে কাজগুলি করবেন না।

 

১। অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করবেন না, তিনি লিখিত পরীক্ষাতে কটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। কারণ ধরুন আপনি 25 টি সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন, আর তিনি বললেন 30 টির উত্তর দিয়েছি। এটি শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য, এই বােধহয় আমি ছিটকে যাব। 

শুধু তাই এই কথােপকথনে তিনি 30 টি প্রশ্ন বলে আপনাকে বিব্রত করার চেষ্টা করলেন অথচ দেখা যাবে তিনি নিজে 20 টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। তাই এই ধরনের কোন আলােচনাতেই যাবেন না। বরং আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে আপনি উপরের কায়দায় তাকে বিব্রত করে দিন।

 

Personality Test Bengali পার্সোনালিটি টেষ্ট কি
ইন্টারভিউ প্রস্তুতি


২। অনেকের অভ্যেস থাকে যিনি Test দিয়ে বেরুচ্ছেন তাকে ধরে জিজ্ঞেস করছেন—বল না ভাই কি প্রশ্ন করল? তিনি কয়েকটি প্রশ্ন বললেন, এবারে যদি সেগুলি আপনার ভাল করে জানা না থাকে তাহলে আবার টেনশন শুরু। একটি জিনিস মনে রাখবেন যারা পরীক্ষা নিতে বসেছেন তারা‌ প্রত্যেকেই এক একটি বিষয়ের দিকপাল। 

তাই তারা কখনই এক বিষয় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করবেন না। তারা ঠিক প্রশ্ন খুঁজে বার‌ করবেন। তার চেয়ে বরং বিগত পরীক্ষাগুলিতে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে কি ধরণের প্রশ্ন করা হয়েছিল, সেগুলি দেখে যান। একটি সম্যক ধারণা পাবেন। বরং নিজের উপর আস্থা রাখুন আর এই বই-এ দেওয়া প্রশ্নগুলি পড়ে তার যথাযত উত্তর শিখে যান আর একই সঙ্গে নীচের বিষয়গুলি দেখে যান—

 

(i) ইন্টারভিউ-এর দিনের যে কোন একটি সংবাদপত্র খুব ভাল করে খুঁটিয়ে পড়ুন, বিগত কয়েকমাস বা বর্তমানে প্রধান সমস্যা (পঞ্চদশ লােকসভা নির্বাচন, পশ্চিমবঙ্গে ভােটের রাজনৈতিক অবস্থা, আই, পি, এল, অলিম্পিক, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি)।

(ii) নিজের বিষয় (নিজ নিজ পাঠ্য বই)।

(iii) আপনার যে বিষয়, পাশ কোর্স হলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী ও অনার্স হলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসের সেই বিষয়ের সিলেবাস।

(iv) পরিবেশ পরিচয় (এই বই-এ পাবেন)।

(v) শিক্ষণ পদ্ধতি (এই বই-এ পাবেন)।

(vi) সাধারণ জ্ঞান (নির্দিষ্ট কিছু নেই তবে কোনগুলির উপর জোর দেবেন লেখা আছে)।

 

৩। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যে সমস্ত অফিসার বা কর্মচারীগণ ইন্টারভিউ-এর দায়িত্বে আছেন, তিনি পরীক্ষার্থীকে ‘তুমি’ সম্বােধনে কথা বলেন। আপনি একজন শিক্ষিত যুবক/যুবতী, আপনার এতে খারাপ লাগতেই পারে তবু কোনকিছু বলতে যাবেন না। কারণ কোন কিছু বলতে গেলে, কিছু বাগবিতন্ডা হলে আপনার মাথায় অনেকসময় ধরে সেটি ঘােরাফেরা করবে ফলে ইন্টারভিউ খারাপও হতে পারে। তবে সত্যি সত্যিই যদি আপনি মানসিকভাবে শক্ত হােন তাহলে একজন শিক্ষিত যুবক/যুবতী হিসাবে সেটির বিরােধীতা করা উচিত।

 

৪। কোনভাবেই ভুলবেন না, মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের পারসেন্টেজ কষতে।

 

৫। কোন বইপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন না, অহেতুক টেনশন বাড়বে। ভাবুন তাে! পরীক্ষার পর ৪-৫ মাস সময় পেলেন এত সময়ে পারলেন না, আর মাত্র ১০ মিনিটে বই পড়ে আপনি ভাল ইন্টারভিউ দেবেন এটা সম্ভব? বরং আমার মতে সেই সময় যদি কোন হাস্যরসের গল্প বা কোন মহাপুরুষের জীবনীর বই পড়েন তাহলে মন হাল্কা হবে আপনার ইন্টারভিউ আরও ভাল হবে।

 

ইন্টারভিউ টিপসঃ Successful interview techniques


বাের্ডে বাের্ডকর্তাদের সাথে কখনও বিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। একটি উদাহরণ দিই, চন্দন দাস নামে একজন প্রার্থীকে প্রথমে বলা হয়েছিল ‘তুমি কোন কোন পত্রিকা পড়াে’? উত্তরে প্রায় চলতি সবকটি বাংলা দৈনিকের নাম বলায় আবার বাের্ডকর্তারা জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘আজকাল’, ‘গণশক্তি তাে পার্টির পত্রিকা, তুমি পড়াে কেন? ঐ পরীক্ষার্থী এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুই বলেন নি, শুধু মুচকি হেসেছিলেন। তিনি ঐ বছর চাকুরি পেয়েছিলেন। তিনি বিতর্কে যাননি। 

কারও পছন্দ ‘আনন্দবাজার’ তাে কারও ‘বর্তমান’ আবার কেউ পড়েন সংবাদ প্রতিদিন। প্রায় প্রত্যেকটি দৈনিক সংবাদপত্রই মহামূল্যবান। এই সমস্ত সংবাদপত্র পাঠ করেই আমরা দুনিয়ার খবরাখবর জানতে পারি। কিন্তু আবার কেউ প্রমাণও করতে পারবেন না এটি রাজনৈতিক আর ৩টি নিরপেক্ষ, কারণ এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। তাই ঐ পরীক্ষার্থী কোনও রকম বিতর্কে যাননি। আর ঐ রকম মুচকি হাসি দিয়ে যদি চাকরি পাওয়া যায় তাহলে বিতর্কের দরকারটাই বা কি! 

আর এটাও তাে একটা ভাবার ব্যাপার যে যিনি বাের্ডে বসে আছেন তারা কিন্তু শিক্ষাগত যােগ্যতায় আপনার থেকে বেশী, কারণ সেই জন্যই উনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এসেছেন। উপরন্তু আপনি একজন বেকার যুবক, আর আপনি তার মুখের উপর কিছু বললে, ওনার মাথাতে এটাও আসতে পারে যে, এই পরীক্ষার্থী চাকুরী পাওয়ার আগেই এভাবে কথা বলছেন, চাকুরী পেলে কি করবেন। 

তাই ইন্টারভিউ বাের্ডে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলাে ‘কোনভাবে বিতর্কে জড়িয়ে না পড়া। আপনার নিজস্ব কোন মতামত থাকতেই পারে, আর এই মতামত প্রকাশ আপনি অনেক জায়গায় প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু যে ৪-৫ মিনিটে আপনার জীবনের গতিপথটাই পাল্টে যেতে পারে, সেখানে অযথা কেন নিজেকে খারাপ করতে যাবেন?

 


ইন্টারভিউতে বেশভূষা কেমন হবেঃ


হিন্দীতে একটি কথার প্রচলন আছে "পহেলে দর্শনধারী, বাদ মে গুণ বিচারী"। অর্থাৎ আপনার যদি বেশভূষা ঠিক না থাকে তাহলে প্রথমেই Expert-দের মধ্যে আপনার সম্বন্ধে নেগেটিভ ধারণা আসবে। তাই বেশভূষা নিয়ে নিচের জিনিসগুলির প্রতি যত্ন নেবেন।


প্রথমেই আপনার মুখমন্ডল

পুরুষদেরঃ
(ক) সাক্ষাৎকারের দু-তিন দিন আগে থেকে চুল কেটে রাখুন।
(খ) যে দিন পরীক্ষা সেদিন সকালে উঠেই ভাল করে দাড়ি কামিয়ে নিন।
(গ) পান, বিড়ি, সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে চুইংগাম সঙ্গে রাখবেন, সাক্ষাৎকারের আধঘণ্টা আগে চুইংগাম খেয়ে মুখ ধুয়ে নিন, মুখে দুর্গন্ধ আসবে না। অথবা ব্যাগে করে পেস্ট আর টুথব্রাশ নিয়ে যান। ঘন্টাখানেক আগে ভাল করে ব্রাশ করে নিন। কেউ উৎসাহিত হয়ে জিজ্ঞেস করলে বলুন দাঁতে ব্যাথা, তাই ব্রাশ করলাম।
(ঘ) আজকালকার ছেলেদের ফ্যাশন চুল লাল করার। যদি সত্যিই রঙিন থাকে তাহলে কলপ করে কালাে করে নিন। অবশ্যই সেদিন শ্যাম্পু করবেন কিন্তু চুলে জবজবে তেল মেখে যাবেন না।
(ঙ) কানের দুল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে ফেলুন।

মহিলাদেরঃ
(ক) মেকআপ করে যাবেন না, হালকা কিছু প্রসাধন ব্যবহার করুন।
(খ) ঠোটে লিপস্টিক বা চোখে কাজল ব্যবহার করবেন না।
(গ) অবশ্যই ভাল করে দাঁত মেজে যাবেন।
(ঘ) চুলের সিথি করে যাবেন। বিবাহিতা প্রার্থীরা খুব বেশী সিদুর ব্যবহার করবেন না বা আধুনিক মহিলার মত ছােট পিনের মত সিদুর ব্যবহার করবেন না (যা দেখে বােঝার উপায় নেই যে আপনি বিবাহিতা না অবিবাহিতা), তাই ভারতীয় মহিলার মত সুন্দর করে সিঁথিতে সিঁদুর পড়ে যাবেন।
(ঙ) কানে শুধুমাত্র দুল ব্যবহার করুন, কোনােরকম ঝুমকা বা পাশা ব্যবহার করবেন না।


আপনার পােশাকঃ

পুরুষদেরঃ
এক কালারের হালকা রঙের জামা পড়ুন বা Sripe দেওয়া জামা পড়ুন।
(খ) ইস্ত্রি করা জামা পড়বেন।
(গ) অনেকে বলেন, জামা যদি পুরনাে ও ছেড়া পড়া যায় তাহলে ওরা ভাববে যে ছেলেটি গরীব তাই ওঁরা তাড়াতাড়ি আপনাকে চাকরী দেবে। কিন্তু মনে রাখবেন ওরা আপনার বুদ্ধি বিচক্ষণতা ইত্যাদি বিচার করতে বসেছেন, আপনার আর্থিক অবস্থা
নয়। তাই কখনাে ছেড়া, সেলাই করা বা অপরিষ্কার জামা পড়বেন না। কম দামি হােক বা ১ বছর আগের
জামা তােক পরিষ্কার করে ইস্ত্রি করে পড়ে যান।
(ঘ) হাফহাতা পড়লে কোন অসুবিধা নেই,‌ তবে ফুলহাতা জামা পড়লে সম্পূর্ণ পড়ুন, মুড়িয়ে পড়বেন না।
(ঙ) তবে সবচেয়ে ভাল কম্বিনেশন হল সাদা জামা ও কালাে প্যান্ট।


হাত ও আঙুলঃ

পুরুষদেরঃ
(ক) হাতে বিপত্তারিনী বা অন্য কোন সুতাে, চেন থাকলে তা অবশ্যই খুলে যান।
(খ) হাতের আঙুলে কোন পাথর বসানাে আঙটি থাকলে তা খুলে ফেলুন।
(গ) ইন্টারভিউ-এর একদিন আগে সুন্দর করে নখ কেটে রাখুন।

মহিলাদেরঃ
(ক) নখ সুন্দর করে কাটুন, নেলপালিশ এড়িয়ে চলুন বা পড়লে খুব হালকা রঙের।
(খ) হাতের আঙুলে কোন আঙটি থাকলে তা খুলে ফেলুন। তবে পাথর ছাড়া শুধু সােনা বা চাদির আঙটি পড়তে পারেন।
(গ) বিবাহিতা মেয়েরা শাখা, পলা ছাড়া অন্য কোন
রঙিন চুড়ি পড়বেন না।
(ঘ) অবিবাহিতা মেয়েরা কাচের চুড়ি এড়িয়ে চলুন। শুধু বাম হাতে ঘড়ি থাকলেই যথেষ্ট। তবে সেই ঘড়ি যেন বেশী ডিজাইন করা না হয়।


প্যান্ট এবং জুতােঃ

পুরুষদেরঃ
(ক) বর্তমানের খুব চালু হওয়া চিনােস প্যান্ট পড়ে যাবেন না, পড়ুন কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরী করা প্যান্ট।

(খ) খুব ঝকমকে বকলেসের বেল্ট পড়বেন না, খুব চওড়া বেল্টও এড়িয়ে চলুন এবং বেল্ট পুরনাে হলে পালিশ করিয়ে নিন।

(গ) জুতাের ক্ষেত্রে বলা যায় চামড়ার জুতাে বা চপ্পল যাই পড়ুন না কেন তা যেন সুন্দর করে পালিশ করা থাকে। এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখবেন, ইন্টারভিউ-এর দুদিন আগে নতুন জুতাে কিনে তা পড়ে যাবেন না কারণ নতুন জুতােতে অনেকের ফোস্কা পড়ে যায়, তাই জুতাে পুরনাে থাকলে পালিশ করুন বা ৭-১০ দিন আগে কিনে পায়ের সাথে সেট করুন এবং অবশ্যই নরম হিলের জুতাে কিনবেন, যেন হাঁটার সময় খটমট আওয়াজ না হয়।

মহিলাদেরঃ
(ক) আপনারাও খুব ঝকমকে পুঁতি বসানাে জুতাে বা শক্ত হিলের জুতাে পরবেন না যাতে হাঁটার সময় খটখট আওয়াজ না হয়। নরম হিলের সাধারণ জুতাে পরে যান।

(খ) পায়ের নখের দিকেও যত্ন নিন, পারলে খুব হালকা রঙের নেলপালিশ ব্যবহার করুন। এই প্রসঙ্গে একটা কথা আছে জানেন, ‘কোন পরিবার কিরকম তা তাদের বাথরুম দেখলে বােঝা যায়, কোন শহর কতটা পরিষ্কার তা শহরের নদীর তীর দেখলে পাওয়া যায়, আর কোন মানুষ কিরকম তা তার জুতাে দেখলে বােঝা যায়। তাই জুতাের ক্ষেত্রে খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করুন।


অবশেষে বলা যায় সবচেয়ে আদর্শ পােশাক-পরিচ্ছদ হল-

পুরুষদেরঃ কালাে প্যান্ট, সাদা হাফহাতা বা ফুলহাতা জামা, মাঝারি চওড়ার বেল্ট এবং কালাে জুতাে।

মহিলাদেরঃ হালকা রঙের (ঘি রঙের, বা হালকা সাদার উপর ছােট ছােট বক্স) শাড়ী, হালকা লাল বা নীল রঙের ব্লাউজ এবং সাধারণ হিলের চামড়ার চপ্পল।


ইন্টারভিউরূমে প্রবেশ ও প্রস্থানকালীন প্রস্তুতি

ইংরেজিতে নয়, পরিষ্কার বাংলাতে বলুন ‘আসতে পারি স্যার’, কারণ ইংরেজি দিয়ে শুরু করলে যদি উল্টো দিক থেকে প্রশ্ন ইংরেজিতে শুরু হয়, তাহলে জালে জড়িয়ে পড়বেন।

 

  • ইন্টারভিউ রুমে খুব আস্তে বা খুব দ্রুত বেগে প্রবেশ করবেন না।
  • বসার অনুমতি না দিলে বসবেন না।
  • খুব জোরে বা খুব আস্তে কথা বলবেন না।
  • কান চুলকোবেন না বা ঠোট চাটবেন না।
  • উত্তর জানা না থাকলে বিনয়ের সাথে স্বীকার করুন বলুন ‘স্যার, জানা নেই।
  • অবশ্যই বেরিয়ে আসার সময় ধন্যবাদ দিন।
  • চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন।
  • প্রত্যেক জনকে ৫-৬ টির বেশী প্রশ্ন সাধারণত করা হবে না। তাই ঐটুকু সময় ঠোট না চাটাই উচিত (কারণ কথা বলার সময় ঠোট চাটা বদ অভ্যাস কাজটি অনেকেই করেন)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section